জর্জ টেলিগ্রাফের সাথে চাকরি পাওয়া এখন অনেক সহজ।

আপনি কি আপনার কর্মজীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তিত? চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। চাকরির বাজারে সব সমস্যার একটাই ঠিকানা- দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। আর আজকের এই ব্লগে আপনি জান্তে পারবেন কী করলে পেয়ে যাবেন মাত্র ৬ মাসের প্রশিক্ষণে পাকা চাকরির সুবর্ণ সুযোগ। বিস্তারিত জানতে ব্লগটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কমার্শিয়াল প্র্যাক্টিস ডিপার্টমেন্ট কী?

কমার্শিয়াল প্র্যাক্টিস বা বাণিজ্যিক অনুশীলন হল একধরনের পেশাভিত্তিক প্রোগ্রাম যা আপনাকে একটি অফিসের বিভিন্ন দায়িত্বের বিভিন্ন দিক পরিচালনা করার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই সম্পর্কে বিশদে পড়তে গেলে আপনাকে এটির ডিপ্লোমা কোর্স করতে হবে। কমার্শিয়াল প্র্যাকটিস-এর ডিপ্লোমা কোর্সটির প্রধান লক্ষ্য হল ছাত্রছাত্রীদেরকে একদম গোঁড়া থেকে যেকোন অফিসে কাজ করার জন্য বিভিন্ন স্কিল শিখিয়ে তৈরি করা।

এই বিভাগে অনেক ভাগ রয়েছে, যেমন, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, ব্যাক অফিস ম্যানেজমেন্ট, স্টেনোগ্রাফি, অফিস ম্যানেজমেন্ট, টেলিফোন অপেরাটর ও রিসেপশনিস্ট, এবং প্রফেসনাল একজিকিউটিভ সেক্রেটারি। এই কোর্সগুলির যেকোনো একটা ঠিকঠাকভাবে পাশ করলেই আপনি যেকোনো অফিসে আপনার কোর্স অনুযায়ী কাজ পেতে পারেন।

ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট কী?

ফ্রন্ট অফিস হল একটি অফিসের সেই বিভাগ যেখানকার কর্মীদের সাথে গ্রাহকরা সবার আগে এসে যোগাযোগ করেন, আর তার পরেই তারা অফিসের ভিতর যেতে পারেন। সরল ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রন্ট অফিস বলতে কোম্পানির এমন একটি বিভাগকে বোঝায় যা সরাসরি গ্রাহক বা ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলে এবং তাদের সেই অফিসে আসার উদ্দেশ্যকে সফল করার চেষ্টা করে। ফ্রন্ট অফিসের ম্যানেজার তাদের ওপরতলার সাথে যোগাযোগ করে গ্রাহককে জানিয়ে দেন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে।

এই কোর্স পড়তে কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন?

আপনি যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই এই কোর্সটি করতে পারেন। কোলকাতা শহরের সবথেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, জর্জ টেলিগ্রাফের ডিপ্লোমা কোর্স করলেই আপনি চাকরি পেতে পারেন। এখানে অ্যাপ্লাই করতে গেলে আপনাকে কোনও বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। আপনি ভাবতেই পারেন, হয়ত বা কোনও বিশেষ প্রশিক্ষণ ছাড়া এই কোর্সে অ্যাপ্লাই করা যায়না। না, এখানে ভর্তির জন্য আপনার কোনও প্রশিক্ষণেরও দরকার নেই। আপনি যদি ঠিকঠাকভাবে উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করে থাকেন, বা তার সমসাময়িক কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় সফল হয়ে থাকেন, তাহলেই মিলবে এই ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ার সুযোগ। দ্বাদশ শ্রেণিতে যেকোনো বিভাগের অভিজ্ঞতা থাকলেই হবে।

ডিপ্লোমা ইন ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্সের সময়সীমা কত?

ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্টের ডিপ্লোমা কোর্সের সময়সীমা বেশ সীমিত। এই কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে

আপনার মাত্র ৬ মাস সময় লাগবে।

ডিপ্লোমা ইন ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স-এ কী পড়ানো হয়?

ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্টের ডিপ্লোমা কোর্সের পাঠক্রমও যথেষ্ট সীমিত। নীচের ছোট তালিকাটি

দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন কেন এর সময়সীমা মাত্র ৬ মাস রাখা হয়েছেঃ

  • ইংরেজি যোগাযোগ এবং ব্যক্তিত্ব বিকাশ
  • EAPBX এর সাথে টেলিফোন
  • রিসেপশন এবং টাস্ক ম্যানেজমেন্ট
  • কাস্টমার কেয়ার, ইন্টারনেট এবং ইমেল সহ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন

ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই এই বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন অফিসে সুনিপুণভাবে দায়িত্ব সামলায়। কিন্তু আপনি কেবল ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট না পড়ে পুরো ডিপ্লোমা ইন অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স করতে পারেন। এতে আপনি ফ্রন্ট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি ব্যাক ম্যানেজমেন্টের কোর্সও করে ফেলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোর্সের সময়সীমা বেড়ে দাঁড়াবে ১০ মাস।

অফিস ম্যানেজমেন্টে কাজের ভবিষ্যৎ কেমন?

এই কোর্সটি সফলভাবে সমাপ্ত করার পরে, আপনি ফ্রন্ট অফিস এক্সিকিউটিভ বা অভ্যর্থনাকারী (রিসেপশনিস্ট) হিসাবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। বর্তমানে প্রাইভেট অফিসের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজারের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। ফলত, অফিস ম্যানেজমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের চাহিদাও অনেক।

অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স নিয়ার মি টাইপ করে ভাবছেন সঠিক ইন্সটিটিউট কোনটা? সময় নষ্ট না করে, আজকেই জর্জ টেলিগ্রাফের অফিসিয়াল পেজটি ঘুরে আসুন। কোর্সটির সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে পারবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.