জর্জ টেলিগ্রাফের সাথে কর্পোরেট চাকরি পাওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

কোলকাতা শহরে কর্পোরেট চাকরি পেতে চান? তাহলে আপনার স্বপ্নপুরনের একমাত্র যোগ্য সাথি হতে পারে জর্জ টেলিগ্রাফ। বিস্তারিত জানার জন্য এই ছোট ব্লগটি তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন।

কম্পিউটার এপ্লিকেশন কী?

কম্পিউটার এপ্লিকেশন হল এমন এক সফ্টওয়্যার যার ব্যবহার সম্ভত এই সময়ে সবথেকে বেশি। আধুনিক যুগে বেশ কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য ডিজাইন করা প্রোগ্রাম, যেমন গান শোনা, ইমেল পাঠানো, শব্দ প্রক্রিয়াকরণ, বা কাজের জন্য একটি স্প্রেডশীট এক করা, এইসব কাজ কম্পিউটার এপ্লিকেশনের দ্বারা করা হয়ে থাকে।

একজন কম্পিউটার এপ্লিকেশন এক্সপার্ট মাইক্রোসফ্ট অফিস, অপারেটিং সিস্টেম, ইন্টারনেটের মৌলিক বিষয়, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, সি এবং সি++ প্রোগ্রামিং, ট্যালি ইআরপি, জাভা ইত্যাদি বিষয়গুলিতে পারদর্শী হয়। এই স্কিলগুলি শেখবার জন্য আপনাকে ডিপ্লোমা বা অ্যাডভান্স কোর্স করতে হবে।

প্রোগ্রামিং কী?

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা কেবল প্রোগ্রামিং হল একধরনের বিশেষ পদ্ধতি যেখানে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপ সহজ করার জন্য কোড লেখা হয়। এছাড়াও সেইসব কাজ কীভাবে সম্পাদন করা যায় সেই সম্পর্কেও নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রোগ্রামিং ব্যবহার করা হয়।

একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার প্রোগ্রামিং কোড এবং স্ক্রিপ্ট লেখে, ভুল কোড সংশোধন করে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখে যে একটি কম্পিউটার সফ্টওয়্যার এবং তার অ্যাপ্লিকেশনগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। এছাড়াও একজন প্রোগ্রামার হিসেবে আপনার ঊর্ধ্বতন সফ্টওয়্যার ডেভলপার এবং ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি ডিজাইনগুলিকে বিভিন্ন ইন্সট্রাকশনে পরিণত করাও আপনার দায়িত্বের অন্তর্গত।

কম্পিউটার এপ্লিকেশন এন্ড প্রোগ্রামিং কোর্স পড়তে কী যোগ্যতা থাকা আবশ্যিক?

কম্পিউটার এপ্লিকেশন নিজেই একটি অন্ত্যন্ত অ্যাডভান্স কোর্স। তাই এটি শেখবার জন্যও আপনার একান্ত ইচ্ছেশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম করা জরুরি। কিন্তু এই কোর্সের জন্যও আপনার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা থাকাও প্রয়োজন। কম্পিউটার এপ্লিকেশন এন্ড প্রোগ্রামিং কোর্স পড়ার জন্যও আপনাকে ন্যুনতম মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। এছাড়া আপনার আর কোনোরকম বাড়তি ডিগ্রি বা বিশেষ প্রশিক্ষণের কোনও প্রয়োজন নেই। এর পরের প্রস্তুতি আপনি এই কোর্সেই শিখে নিতে পারবেন। আপনি যদি মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে থাকেন, বা অন্য বোর্ডে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বোর্ডেরই মাধ্যমিকের সমান পরীক্ষার সংশাপত্র দেখাতে হবে। তাহলেই আপনি এই কোর্সের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।

এই কোর্সের সময়সীমা কত?

কম্পিউটার এপ্লিকেশন এন্ড প্রোগ্রামিং কোর্স পড়তে আপনার লাগবে মাত্র এক বছর। এছাড়াও আপনি যদি অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার এপ্লিকেশন কোর্স করতে চান, তার জন্যেও আপনাকে এক বছর অর্থাৎ বারো মাস সময় দিতে হবে। এই দুই কোর্সের পড়াশোনা একইরকম। কিন্তু অ্যাডভান্স কোর্সে আপনার ট্রেনিংও বেসিক না হয়ে অ্যাডভান্স হবে।

কম্পিউটার এপ্লিকেশন এন্ড প্রোগ্রামিং কোর্সে কী কী পড়ানো হয়?

এই কোর্সে আপনি কমিপিউটার এপ্লিকেশন সম্পর্কে সরকম বিষয়েই সুদক্ষ হবার প্রশিক্ষণ পাবেন। এই এক বছর ব্যাপি কোর্সটিতে যে যে বিষয়ে শেখানো হবে, তার একটি তালিকা আপনি নীচের অংশেই দেখতে পাবেন। এতে আপনি সহজেই এই কোর্সটির গুরুত্ব বুঝতে পারবেনঃ

  • মৌলিক এবং অপারেটিং সিস্টেম এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা
  • ওয়ার্ড এবং এক্সেল
  • পাওয়ারপয়েন্ট এবং অ্যাক্সেস
  • এইচটিএমএল এবং জাভা স্ক্রিপ্ট
  • মাইএসকিউএল সহ পিএইচপি
  • ওরাকল (এসকিউএল)
  • সি++ সহ ওওপিএস
  • ইংরেজি কমিউনিকেশন
  • ডেটা এন্ট্রি এবং কম্পিউটার টাইপিং

ডিপ্লোমা কোর্সের এই বিষয়গুলি আপনাকে খুব ভালভাবে শিখে নিতে হবে যদি আপনি কোনও বড় কোম্পানিতে কাজ করতে চান। এর অ্যাডভান্স কোর্সে এই বিষয়েরই অ্যাডভান্স ট্রেনিং দেওয়া হয়।

অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার এপ্লিকেশন করলে কর্মজীবনের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে?

এই কোর্সটি যদি আপনি সফলভাবে সমাপ্ত করতে পারেন, তাহলে আপনি ওয়েবের জন্য প্রোগ্রামার, ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার, ইন্টারনেট প্রোগ্রামার এবং গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে কম্পিউটার এক্সপার্টের চাহিদা সর্বত্র। তাই আর দেরি না করে আজই ভর্তি হয়ে যান জর্জ টেলিগ্রাফের অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার এপ্লিকেশন কোর্সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.